ব্রেকিং:
পরাজয় মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি ট্রাম্প ২৭ বছর পর আলোকিত হলো কারাবাখের গ্র্যান্ড মসজিদ

রোববার   ১৮ এপ্রিল ২০২১   বৈশাখ ৫ ১৪২৮  

নিজের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত নিয়ে যা বললেন রাব্বানী

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

ছাত্রলীগের দায়িত্ব থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরে গিয়েছিলেন রেজওয়ানুল চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। তখনই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার (১৮ নভেম্বর) কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, রাব্বানী ও শোভনের বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেছে।

 

 

খবর মুহূর্তেই ভাইরাল হলে এ নিয়ে মুখ খোলেন রাব্বানী। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি গোবিডি২৪ডটকম পাঠকদের জন্যে হুবহু তুলে ধরা হলো। রাব্বানী লিখেছেন, “ইনবক্সে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তাময় মন্তব্য সহকারে একটি নিউজের বিভিন্ন লিংক দিচ্ছে। খবরে প্রকাশ, আমাদের (আমি ও শোভন) সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান করবে দুদক।

 

 

যদিও অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয় নাই, আর এ সংক্রান্ত কোন চিঠি বা ফোন কলও পাইনি। তবে আমি মন থেকে চাই, দুদক অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে, নিরপেক্ষভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করুক এবং প্রকৃত সত্য-টাই অফিসিয়ালি ডিক্লেয়ার করুক।

 

 

আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ছাত্রলীগের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু অনভিপ্রেত ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে, কিন্তু এই ১৪ মাসে স্বীয় পদ বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি কোন দপ্তর, বা ভবনে কোন কাজ করি নাই। কোথাও কোন আর্থিক সুবিধা নেই নাই, কোন অবৈধ উপার্জন বা দুর্নীতির সাথে জড়িত হই নাই।

 

 

আর আমার কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই। ছোটবেলা থেকেই, ‘হ্যান্ড টু মাউথ’, অর্থাৎ পকেটে যা থাকে ইচ্ছেমতো খরচ করি, ফুরিয়ে গেলে ফের কি করা যায়, চিন্তা করি। ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চাটা বড্ড জরুরী। আমাদের আস্থার শেষ ঠিকানা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেখানে দুদককেই সেনাপতি বেশে সবচেয়ে কার্যকর ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

 

রাজনীতিবিদ, আমলা, অসাধু ব্যবসায়ী-মজুতদারসহ যেকোনো শ্রেণীপেশার মানুষ, যার বৈধ আয়ের সাথে জীবনমান আর সম্পদের সামঞ্জস্যতা নেই, তাকেই তদন্ত ও অনুসন্ধানের আওতায় এনে পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সম্ভাব্য সকল সূত্র ধরে টান দিতে হবে।

 

 

আমরা চাই, দুদক ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করে, প্রয়োজনে দক্ষ জনবল বাড়িয়ে, কারিগরি উন্নয়ন ঘটিয়ে, দুর্নীতি দমনে এমনভাবে কাজ করুক, যেন নাম শুনলেই দুর্নীতিবাজদের পিলে চমকে যায়, ‘রাত দুপুরে যদি দুদক ধরে….!!!

 

 

শুভকামনা, দুদক; ভালো কাজের সমর্থনে, যেকোনো সহযোগিতার অভিপ্রায়ে পাশে আছি।”

এই বিভাগের আরো খবর